একজন উদ্যোক্তার জন্য হালাল বিনিয়োগ কতটা জরুরিউদ্যোক্তা মানেই নতুন স্বপ্ন, নতুন চিন্তা আর নতুন সম্ভাবনা। কিন্তু সেই স্বপ্ন যদি হারাম বা সন্দেহজনক পুঁজির উপর দাঁড়ায়, তাহলে তা কখনো স্থায়ী বা বরকতময় হয় না। ইসলাম ব্যবসা-বাণিজ্যকে উৎসাহিত করেছে, তবে শর্ত একটাই—তা হালাল হতে হবে।হালাল বিনিয়োগ মানে এমন পুঁজি যা সুদমুক্ত, প্রতারণাহীন এবং ইসলামী নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “হালাল রিজিক অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরজ।” (বায়হাকি)।একজন উদ্যোক্তার ব্যবসার ভিত যদি হালাল হয়, তাহলে সেই ব্যবসায় আল্লাহর বরকত থাকে, এবং সে শুধু দুনিয়ার সফলতাই নয়, আখিরাতের সাফল্যও অর্জন করতে পারে। হালাল বিনিয়োগ একজন উদ্যোক্তাকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে, কারণ সে জানে তার আয় পবিত্র ও ন্যায়সঙ্গত।অন্যদিকে, হারাম বা সন্দেহজনক উৎস থেকে আসা বিনিয়োগ ব্যবসায় সাময়িক লাভ এনে দিলেও তা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি ডেকে আনে—অর্থনৈতিক, নৈতিক এবং আত্মিক দিক থেকে।আজকের সময়েও হালাল বিনিয়োগ একটি প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা। গ্রাহক ও সমাজের কাছে একজন উদ্যোক্তার সৎ অবস্থান ও নৈতিকতা তার ব্র্যান্ড ভ্যালুকে বাড়িয়ে তোলে।সুতরাং, একজন উদ্যোক্তার সফলতা ও স্থায়ীত্বের জন্য হালাল বিনিয়োগ শুধু জরুরি নয়—এটি একটি অবিচ্ছেদ্য দায়িত্ব।