No Image No Image

পরিকল্পিত বিনিয়োগ হতে পারে হালাল আয়ের উৎস

image

পরিকল্পিত বিনিয়োগ হতে পারে হালাল আয়ের উৎস

ইসলাম ধর্মে হালাল রিজিক অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ যেন অবৈধ পথে অর্থ উপার্জন না করে, এজন্য শরিয়াহ নির্ধারিত একটি স্পষ্ট দিকনির্দেশনা আছে। এই নির্দেশনার আলোকে পরিকল্পিত বিনিয়োগ হালাল আয়ের একটি নিরাপদ ও টেকসই উৎস হতে পারে। পরিকল্পিত বিনিয়োগ মানে হলো – এমন একটি ব্যবসায়িক উদ্যোগ, যা সুদ, জুয়া, প্রতারণা ও অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত এবং পূর্ণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়।শরিয়াহভিত্তিক বিনিয়োগে দুটি প্রচলিত পদ্ধতি হলো মুদারাবা (অর্থদাতা ও উদ্যোক্তার অংশীদারিত্ব) এবং মুশারাকা (উভয় পক্ষই পুঁজি ও শ্রম দেয়)। এই মডেলগুলোতে মুনাফা পূর্ব নির্ধারিত অনুপাতে ভাগ হয়, তবে ক্ষতি হলে মূলধন অনুযায়ী দায়বদ্ধতা নির্ধারিত হয়। সুদের (রিবা) কোনো স্থান না থাকায়, এটি শরিয়াহসম্মত হালাল পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃত।পরিকল্পিত বিনিয়োগে আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে ব্যবসার ধরন, পণ্যের প্রকৃতি, লাভ বণ্টনের পদ্ধতি ও চুক্তির শর্তাবলি। এতে বিনিয়োগকারী জানেন, তার অর্থ কীভাবে ব্যবহৃত হবে এবং লাভ কীভাবে আসবে। অডিট, হিসাব পর্যালোচনা, বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ – এসব বিষয় হালাল বিনিয়োগের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।সুতরাং, পরিকল্পিতভাবে বিনিয়োগ করলে তা হতে পারে হালাল আয়ের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস। এটি শুধু ব্যক্তিগত লাভ নয়, বরং অর্থনীতির সার্বিক কল্যাণ এবং সমাজে ন্যায়ভিত্তিক একটি অর্থনৈতিক পরিবেশ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

We may use cookies or any other tracking technologies when you visit our website, including any other media form, mobile website, or mobile application related or connected to help customize the Site and improve your experience. learn more

Allow