একজন মুসলিমের জীবনের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। এই সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হলো হালাল উপার্জন ও হালাল রিজিক গ্রহণ করা। হাদীসে এসেছে, “হালাল রিজিক অর্জন করা ফরজ ইবাদতের পরবর্তী ফরজ।” তাই একজন মুসলিমের উচিত, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে হালাল রিজিককে অগ্রাধিকার দেওয়া—even যদি তা পরিমাণে কম হয়। আজকের সমাজে অনেকেই মনে করেন, বেশি আয়ই সফলতা। কিন্তু ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয়, কম হলেও হালাল রিজিকই বরকতময় এবং আত্মার প্রশান্তির উৎস। হারাম উপার্জনে হয়তো সাময়িকভাবে স্বাচ্ছন্দ্য আসে, কিন্তু তা আখিরাত তো দূরের কথা, দুনিয়াতেও অশান্তি, অস্থিরতা ও অকল্যাণ ডেকে আনে। একজন মুসলিমের উচিত, তিনি যেন হারামের প্রলোভনে না পড়ে, বরং হালাল রিজিকের উপর পূর্ণ আস্থা রাখেন। কারণ রিজিকের মূল উৎস আল্লাহ। তিনি যাকে ইচ্ছা, যেমন চান, রিজিক দিয়ে থাকেন। মানুষ শুধু চেষ্টা করে, ফলাফল আল্লাহর হাতে। রাসূল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি হালাল উপার্জন করে নিজের জন্য ও পরিবার-পরিজনের প্রয়োজন মেটায়, সে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী সমান।” এই হাদীস প্রমাণ করে, হালাল রিজিকের মর্যাদা কত উচ্চে। সুতরাং, একজন প্রকৃত মুসলিমের জন্য জীবনযাত্রার মান নয়, বরং জীবনযাত্রার পবিত্রতাই গুরুত্বপূর্ণ। কম হলেও হালাল রিজিকই শান্তি, বরকত ও আখিরাতের মুক্তির পথ।