বাংলাদেশে ন্যাচারাল খাদ্যের চাহিদা কতটা?বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক খাদ্যের চাহিদা দিন দিন বহুগুণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভেজাল, কেমিক্যালযুক্ত খাবার এবং অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে মানুষ এখন স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠছে। শহর থেকে গ্রাম—সবখানেই ক্রেতারা খুঁজছেন খাঁটি, নিরাপদ ও প্রাকৃতিক খাদ্য।বিশেষ করে অর্গানিক ফসল, রাসায়নিক মুক্ত সবজি, সরিষার তেল, খাঁটি ঘি, প্রাকৃতিক মধু, পাটালি গুড়—এসব পণ্যের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে বহুগুণে। সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন শপ ও স্বাস্থ্য সচেতন উদ্যোগের কারণে মানুষ এখন জানে কোনটি আসল আর কোনটি কৃত্রিম।একাধিক জরিপ ও বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৭০% ভোক্তা নিরাপদ খাদ্য পেলে কিছুটা বাড়তি দাম দিতেও রাজি। শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীদের জন্য প্রাকৃতিক খাদ্য যেন এখন প্রয়োজনীয়তার নাম।এই চাহিদা শুধু স্বাস্থ্যগত কারণেই নয়, বরং এটি এখন একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ নিচ্ছে—‘ভেজালমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে। ফলে উদ্যোক্তাদের জন্য এটি একটি বিশাল সুযোগ। যারা সৎভাবে ন্যাচারাল খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছেন, তারা বাজারে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন।অতএব, বলা যায়, বাংলাদেশে ন্যাচারাল খাদ্যের চাহিদা শুধুই বেশি নয়—এটি একটি সম্ভাবনাময়, টেকসই ও বরকতময় ক্ষেত্র।